হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় দুই গোষ্ঠীর বিরোধের জেরে বুকে টেটাবিদ্ধ করে মিনারা খাতুন (৩৫) হত্যা মামলায় ২৯ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শাহিনুর আক্তার আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
আসামিরা হলেন- সমছু মিয়া, ছল্লুক মিয়া, আব্দুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আমির উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া, আব্দুল আহাদ, আলী আজম, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাকিম আহম্মেদ, সোহাগ মিয়া, শহীদ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, ইমরান মিয়া, আব্দাল মিয়া, আব্দুল মজিদ, এখলাছ মিয়া, সোহান মিয়া, কামাল মিয়া, মিজানুর রহমান, শানু মিয়া, শরাফত উল্লা, আহাম্মদ আলী, শিশু মিয়া, সাকিব মিয়া, পত্রিঙ্গা বিবি, সুমতা বিবি, রফিকুন্নেছা প্রমুখ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মিনারা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২৯ আসামি মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কাঠখাল গ্রামের পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির লোকদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের কাছুম আলী এবং তার লোকজনের। এ নিয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তবে আব্দুস শহীদের নেতৃত্বাধীন পাতনী বাড়ি ও চৌকিদার বাড়ির পক্ষে ১১টি গোষ্ঠীর লোক থাকায় এলাকায় তাদের আধিপত্য বেশি। চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর সকালে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে শান্ত করে। পরবর্তীতে বিকেলে ১১ গোষ্ঠীর লোকজন এসে কাছুম আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মিনারা খাতুনের বুকে টেটাবিদ্ধ হয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন। পরে সেখান থেকে তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রেরণ করা হয়। রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।