৩ লাখ টাকার চুক্তিতে ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মো. রাশিক মারজান। বিজ্ঞান বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল ৩৫৩।
সেই হিসেবে এই ‘মেধাবী’ রোববার এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। তবে তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ‘জালিয়াতির’ মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি বের হয়ে আসে। পরে তাকে জালালাবাদ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শাবি প্রক্টর এবং ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব জহীর উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার থেকে শাবির বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তখন ওই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আসলে প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সনদও নকল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
‘‘ভর্তি পরীক্ষায় তিনি অংশ নেননি, তার হয়ে অন্য একজন পরীক্ষা দিয়েছে। এ জন্য তার বাবা জালিয়াত চক্রকে তিন লাখ টাকাও দিয়েছেন।’’
রাশিকের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানায়। জালিয়াতির অভিযোগে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে, এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রক্টর জহীর উদ্দীন।