লন্ডনে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউকে’র ট্রাস্টি এবং জেনারেল মেম্বারদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর সোমবার ইস্ট লন্ডনের মাইল এন্ডের ইস্ট ইন্ড অডিটোরিয়ামে সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সল রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি শাহিন ইকবাল।
মববিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বড়লেখা ফাউন্ডেশনের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ফয়সল রহমান, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ট্রেজারার সোহেল রহমান, কোষাধ্যক্ষ সোহেল রহমান, সহ কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, আবু রহমান, নজরুল ইসলাম নজু, সলিসিটর আবুল কালাম রুকন, আকবর হুসেন প্রমুখ।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সাবেক কাউন্সিলর আতা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা পীরজাদা হুসেন আহমদ, সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ইনফরমেশন সেক্রেটারি সাংবাদিক সালেহ আহমেদ, বড়লেখা ফ্রেন্ডস ক্লাবের সেক্রেটারি বেলাল আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি সাহেদ আহমদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী নজরুল, নাজমুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান, আইনজীবি নাসির উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, ব্যবসায়ী আহমদ হুসেন, মিসবা উদ্দিন, সাইফুদ্দিন সুনাম, জুড়ী কলেজের সাবেক অধ্যাপক সফিকুল হক স্বপন, সুজানগর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে’র সেক্রেটারি আজিম উদ্দিন, ফ্রান্স থেকে আগত বড়লেখা ফাউন্ডেশনেরর ফ্রান্স প্রতিনিধি সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার লুলু।
সভায় বড়লেখা ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বড়লেখা এবং জুড়ীতে প্রায় ১৩০টি হুইল চেয়ার এবং দুইটি গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বড়লেখায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল এবং একটি চক্ষু হাসপাতাল চালু করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।
সাবেক কাউন্সিলর আতা রহমান বলেন, বড়লেখা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি হিসেবে আমরা প্রত্যেকে নিজের পরিবারের মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তাঁর সহধর্মিণী একটি সদস্য ফর্ম পূরণ করে ফাউন্ডেশনের প্রথম মহিলা সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
সভায় কক্তারা বলেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলামের সাংগঠনিক দক্ষতা, বিশেষ করে বড়লেখার অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার যে আপ্রাণ চেষ্টা তার ফসল এই সংগঠন। লন্ডনে সত্যিকার অর্থে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউকে-ই একমাত্র চ্যারিটি সংগঠন যা বড়লেখার গরিব অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বড়লেখা ফাউন্ডেশনের প্রধান নীতি বাক্য হচ্ছে ‘Unity is our ability’, এটা তাঁরা প্রমাণ করেছে তাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, বড়লেখা ফাউন্ডেশনের পরিচালকদের সে গুণটি রয়েছে। মাত্র এক বছরের মধ্যে সংগঠনের তহবিলে প্রায় ১২ হাজার পাউন্ড জমা হয়েছে এবং আরোও ৬ হাজার পাউন্ড জমা হওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বক্তারা নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের এই মহৎ কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলামের চাচা বড়লেখার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলভ প্রিন্টিং প্রেস’র স্বত্বাধিকারী ফখরুদ্দিন ফকু এবং ট্রাস্টি শওকত হোসেনের মাতার রোগমুক্তি কামনা বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ট্রাস্টি সফিকুর রহমান।
শেষে ডিনারের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।