হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায দেবরের দায়ের কোপে মানছুরা আক্তার সুমী (২৫) নামে পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা এক নারী খুন হয়েছেন। ৪ নভেম্বর রোববার দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত সুমী উপজেলার মুড়িয়াক পশ্চিমপাড় দেওয়ান বাড়ির আব্দুর রশিদ লিটনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের সফিউল আলমের মেয়ে। সুমী পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন।
এ ঘটনার পর থেকে দেবর বুরহান উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি সুমীর আপন চাচাতো ভাই মৃত তবারক হোসেনের ছেলে আব্দুর রশিদ লিটনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের পরিবারিক কলহ বাধে। এর জের ধরে রোববার বেলা ১১টায় লিটনের ছোট ভাই বুরহান সুমীর মাথা এবং হাতে দা দিয়ে আঘাত করেন। এসে সুমী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সুমীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।