বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

এসকে সিনহার বই প্রকাশ ঘিরে এডভোকেট তবারক হোসেইনের নাম জড়িয়ে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সদ্য প্রকাশিত বই ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি’ প্রকাশকে ঘিরে মানি লন্ডারিং এর সাথে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট তবারক হোসেইনের নাম জড়িয়ে দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

গত ২২ শে সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার অনলাইন ভার্সন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর প্রিন্ট ভার্সনে ‘সিনহাকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার দিয়েছে মীর মাসুম’ শিরোনাম প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দিয়ে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামের বইটি লিখিয়েছে বিএনপি-জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী। এই বইটি লেখা বাবদ তিনি মূল্য পেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় ২ কোটি ৮০ লাখ। এসকে সিনহাকে এই টাকা দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীর মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ভাই মীর মাসুম। ওই টাকায় সিনহা কিনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির পিটারসন এলাকার ১৮০ জেসপার রোডের প্রাসাদের মতো বিলাসবহুল বাড়িটি। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে ওই বই লেখার জন্য ওই টাকা মানি লন্ডারিং এর মাধ্যমে সংস্থান ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যোগান দেন বাংলাদেশের সিলেট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা আইনজীবি তোবারক হোসেন। প্রায় দুই মাস আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তিনি। আইনজীবি তবারকের মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতির জন্য টাকা মানি লন্ডারিং করে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন লন্ডনে অবস্থারনত বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহাতাবুর রহমান নাছির ও ওই ব্যাংকের মালিক ইকবাল নামের দুই ব্যক্তি। বাংলাদেশ থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতির জন্য টাকা মানি লন্ডারিং করে পাঠানোর জন্য যেসব ব্যক্তিরা জড়িত হয়েছেন তাদের সকল বিষয়ে সমন্বয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির বিএনপির নেতা গোলাম রাব্বানি।’ গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এই ধরনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়।

এদিকে ‘প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ’ জানিয়েছেন এডভোকেট তবারক হোসেইন।‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত প্রতিবাদলিপিতে এডভোকেট তবারক হোসেইন বলেন, দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় গত ২২ সেপ্টেম্বর অনলাইন সংস্করণ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত প্রথম পাতায় ‘‘সিনহাকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার দিয়েছে মীর মাসুম’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করি, সিলেট জেলা বারের একজন সদস্য, এই খবরটিতে আমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, আমার নাম জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আমার ব্যক্তিগত ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই সংবাদে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সিনহার সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নাই। তাই আইন বহির্ভূতভাবে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। প্রায় দুই মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রেও যাইনি। মাহাতাবুর রহমান নাছির ও ইকবাল নামে ব্যক্তিদ্বয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই, জীবনে কোনদিন দেখাও করিনি। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।’

এ বিষয়ে এডভোকেট তবারক হোসেইন বলেন, আমার স্পষ্ট সুদৃঢ় ও দ্যর্থহীন বক্তব্য হলো- ‘প্রকাশিত সংবাদপত্রে আমাকে জড়িয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, অলীক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার সাথে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার কোন যোগাযোগ নেই, প্রায় দু’মাস কিংবা দু’মাস আগে আমি আমেরিকা যাইনি। আইন বহির্ভূতভাবে অর্থ নিয়ে যাওয়া বা কথিত মানি লন্ডারিং এর কোন প্রশ্নই আসতে পারে না। সংবাদে কথিত মীর মাসুম, মাহাতাবুর রহমান নাছির বা উক্ত ব্যংকের ইকবাল তাদের সাথে সম্পর্ক তো দূরের কথা তাদের আমি জীবনে দেখিনি। কাজেই তাদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।

দৈনিক জনকন্ঠের রিপোর্টার শংকর কুমার দে এবং ফেসবুকে পোস্ট দানকারীদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, এসব অভিযোগের বিন্দুমাত্র প্রমাণ করুন নতুবা প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক এসব বক্তব্য প্রত্যাহার করুন।’