আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেলছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করলে কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না ।
৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আল রিয়াদ এক্সপ্রেস বাসের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গ্রেনেড হামলা মামলায় ন্যায়বিচার চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমি নিজেও ওই হামলায় আহত হয়েছি। আমাদের নেত্রীর একটা কানের শ্রবণ শক্তি চলে গেছে। আইভি রহমানসহ ২৪ জনের প্রাণের প্রদীপ চিরদিনের মতো নিভে গেছে। কাজেই এই ধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার বাংলাদেশে হবে না এই ইমপিউনিটি কালচার গড়ে তুলবো?
তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার ঘটনার সময় ক্ষমতা ছিল বিএনপি। সবাই জানে এর মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে হাওয়া ভবন, তারেক জিয়া। এখন সত্যকে আঁড়ালে করে লাভ নাই। তারপরও এ ব্যাপারে রায়ের আগে কোনও কমেন্ট করতে চাই না। কিন্তু ন্যায়বিচার যেন আমরা পাই। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি আদালতে।
রায়কে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা বা প্রতিক্রিয়া থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায়বিচার ছাড়া আমাদের আর কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। বিএনপি এটাকে নিয়ে যদি কোনও সমস্যা তৈরি করতে চায়, যদি সহিংসতা-নাশকতা করতে চায়, সেটাকে কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোর অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি এই মামলা রায় নিয়ে তারা (বিএনপি) এখন থেকে বড় ধরনের নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা নিচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে এটা ২০১৪ সাল নয়, এখন ২০১৮ সাল। সেই ধরণের কোনও অপচেষ্টা হলে প্রতিরোধ করবে দেশের জনগণ। আমাদের লাগবে না। সহিংসতার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যা করার দরকার হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা করবে। প্রয়োজনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
জাতীয় ঐক্যের পাঁচ দফার দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাঁচ দফার ভিত্তিতে পাঁচ মিশালি জাতীয় ঐক্য। জাতির কাছে আবেদন, এই জগাখিচুরি ভাঙ্গণপ্রবণ ঐক্য, জাতির কাছে আবেদনহীন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড মামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা দুই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকায় ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।