হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে জীবিত এক কলেজ ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজ ছাত্রীর নাম রিনা আক্তার। সে বানিয়াচং উপজেলার জিটকা গ্রামের ফজর উদ্দিনের মেয়ে এবং শচীন্দ্র কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
কলেজছাত্রী স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকালে মাথা ব্যথায় অচেতন হয়ে পড়লে রিনাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার অভিভাবকরা। এ সময় সেখানে ইন্টার্নি দুই শিক্ষার্থী রোগীর পালস পরীক্ষা করে একে অপরকে রোগী মারা গেছে বলেন। এ কথা শুনে ওই রোগীর পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাড়িতে খবর পৌঁছলে রিনার ভাই সাজু মিয়া হাসপাতালে এসে বোনের মুখের কাছে হাত নিলে গরম নিঃশ্বাস অনুভব করেন। তখন তিনি ডাক্তারকে গালাগাল দিয়ে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় খবর পেয়ে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় রোগীকে পরীক্ষা করে স্যালাইনসহ ওষুধ দেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে রিনা আক্তার আবারও অচেতন হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে সিলেট পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে রোগীর বাবা ফজর উদ্দিন বলেন, ডাক্তারকে না জানিয়ে ট্রেনিং করতে আসা শিক্ষার্থীরা এভাবে ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এ ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করেন তিনি।
হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় সাংবাদিকদের বলেন, যারা ইন্টার্নি শিক্ষার্থী তারা অনেক সময় ডাক্তারকে খবর দেওয়ার আগেই নিজেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এখানে এ ধরনেরই কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।