নাটকের চেয়েও নাটকীয়তা বুঝি একেই বলে। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ১ রান। ক্রিজে রবীন্দ্র জাদেজার মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বোলার রশিদ খান। তিনিই কি না ওভারের পঞ্চম বলটিতে পুল করতে গিয়ে ঠিকমত টাইমিং করতে পারলেন না। ক্যাচ উঠে গেলো মিডউইকেটে। নজিবুল্লাহ জাদরান ক্যাচটি তালুবন্দী করে নিলেন। ম্যাচ শেষ। কেউ জিতলো না, কেউ হারলোও না। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ টাই করলো ভারত।
৫টি পরিবর্তন এনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাদশ সাজিয়েছিল ভারত। আফগানদের যে মোটেও গোনায় ধরেনি ভারতীয়রা, তা তাদের এই দল সাজানো দেখেই বোঝা যায়। আফগানরাও ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকে ছিলেন অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজা।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। হাতে উইকেট মাত্র একটি। রশিদ খানের দ্বিতীয় বলকে বাউন্ডারি বানিয়ে লক্ষ্যটা সোজা করে ফেললো ভারত। পরের বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে দিলেন মোহাম্মদ খলিলকে। তিনিও একটি সিঙ্গেল নিয়ে নিলেন। আবারও স্ট্রাইকে জাদেজা। এবার তো জয় নিশ্চিত। আর ঠেকানোর সাধ্য কার? কিন্তু রশিদের গুগলিতে বিভ্রান্ত ঠিকই হলেন জাদেজা। ক্যাচটা তুলে দিলেন। জিততে পারলো না ভারত। আফগানরা জিততে না পারলেও বুঝিয়ে দিলো, সত্যিই তারা হেলা-ফেলার পাত্র নয়।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ মুহূর্তে দারুণ নাটকীয়তা জমিয়ে তোলে আফগানরা। বিশেষ করে তাদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কুলদ্বীপ যাদব এবং সিদ্ধার্থ কাউল একই ওভারে দুর্দান্ত দুটি থ্রোতে রানআউট হয়ে গেলে ম্যাচ পুরোপুরি হেলে পড়ে আফগানদের দিকে। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা টিকে থেকেও ম্যাচ শেষ করতে পারলেন না। আফগানদের বীরোচিত মনোভাবের কাছে হেরে গেলেন। জিততে না পার তো ভারতের জন্য পরাজয়ই!