মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে উদ্ধারকৃত নারীর মস্তকবিহীন লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম বৈষ্ণবী ইরানী তাঁতী (২৫)। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট চা-বাগানের দেব তাঁতী ও সেতু তাঁতীর মেয়ে। তিনি কালীঘাট চা-বাগানের ফাঁড়ি চা-বাগান ফুলছড়ার কৃষ্ণ মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে কাজ করতেন।
এদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মো. হাসান (৩৫), প্রেম সাধু (৫০), উত্তম সাধু (৩৫), দয়াল সাধু (৪৫), রাম চন্দ্র পাশী (৫০), রতন পাশী (৩৫) ও যাদু পাশী (২২)। তারা সকলই ধলই চা-বাগানের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগান এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক চম্পক ধাম জানান, ধলই চা-বাগান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নারীর মস্তকবিহীন লাশের খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল তৈরির পর অজ্ঞাত পরিচয়ের হিসাবে মস্তকবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল। সে সময় নিহত নারীর পরনে সাদা রংয়ের শাড়ি ছিল। লাশের সুরতহাল ও ঘটনাস্থলের সংগৃহীত আলামতে ধারণা করা যায়, বৈষ্ণবীকে নির্যাতনের পর গলা কেটে মস্তকবিহীন অবস্থায় এখানে ফেলে যায় হত্যাকারীরা।
উপপরিদর্শক চম্পক ধাম আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নিহত নারী শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট চা-বাগানের দেব তাঁতী ও সেতু তাঁতীর মেয়ে। তিনি কালীঘাট চা-বাগানের ফাঁড়ি চা-বাগান ফুলছড়ার কৃষ্ণ মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে কাজ করতেন। বৈষ্ণব হিসাবে তিনি প্রায়ই কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধলই চা-বাগানের শ্রমিক বস্তিতে এসে ভিক্ষা করত। ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার তিনি ধলই চা-বাগানের রামচন্দ্রের বাড়িতেও এসেছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য বের হয়েছে। তবে আরও সঠিক তথ্য সংগ্রহে জোর পুলিশি তদন্ত চলছে। শীঘ্রই এ হত্যাকাণ্ডের আসল তথ্য বের হবে বলে তিনি মনে করেন।