বাকিতে সিগারেট ও কিছু মালামাল বিক্রি করবে না বলায় কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বাবা-ছেলেকে হত্যা করার অভিযোগে করা মামলায় ৫ জনকে ডাবল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। আর নিহতের আরেক ছেলে শাহজাহানকে জখম করার অপরাধে ওই ৫ আসামিকে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
পাঁচ আসামি হলেন- শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, মিস্টার ওরফে ছোট মিস্টার, আরিফ (পলাতক) ও মাসুদ (পলাতক)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই রাতে কেরানীগঞ্জের বরিশুর বাজারের পশ্চিম পাশে মালোপাড়া সংলগ্ন নিজ দোকানে ব্যবসায়ী শরীফের দুই শিশুপুত্র খোকন (৯) ও শাহজাহান (১২) বাবার জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসে। বাবার কাছে রাতের পড়া শেষে তারা দোকানের পেছনের রুমে ঘুমিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৩/৪টার দিকে আসামিরা দোকানে এসে সিগারেট ও কিছু মালামাল বাকি চায়। শরীফ বাকিতে মাল বিক্রি করবে না বলে জানায়। পরে আসামিরা তাদের হাতে থাকা দা, চাপাতি দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করে। তার চিৎকারে তার শিশু দুই পুত্র এগিয়ে এসে বাবাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে। আসামিরা তাদেরকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
ঘটনাস্থলেই শরীফ ও তার শিশুপুত্র খোকন মারা যায়। এ ঘটনায় শরীফের ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ১৯৯৪ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ জুলাই ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিভিন্ন সময়ে ১৮ জন এ মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন।