সাম্প্রতিক অতীত কি ঝাঁঝালো উত্তাপই না ছড়াচ্ছিল এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচকে ঘিরে। দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। সেই দুল দল, মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে যাদের লড়াই ছড়িয়েছিল বারুদে উত্তেজনা। ম্যাচের চেয়ে এ ম্যাচ তো বেশি কিছুই। লঙ্কান আধিপত্বে শুরু ম্যাচটা অবশ্য এক তরফাই হয়ে যাচ্ছিল। আসলে ‘এক তরফা’-ই হলো। কিন্তু শ্রীলঙ্কা নয়, ম্যাচটা এক তরফা করে জিতে নিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে উড়িয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করলো টাইগাররা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। প্রথম ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটা শেষ পর্যন্ত অলআউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে যোগ করে ২৬১ রান। মুশফিকুর রহীম খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস। জবাব দিতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপে শুরু থেকেই দিশেহারা শ্রীলঙ্কা।
মাশরাফী, মোস্তাফিজ, মিরাজ, রুবেলদের একের পর এক আঘাতে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারল না লঙ্কানরা। এক তরফা ভাবেই জয় ছিনিয়ে আনল টাইগার বোলাররা।
খেলা যে শুধুই খেলা নয়, তার আরো একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল শনিবারের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ম্যাচটা কেউ দেখে না থাকলে শুধু জয়ের ব্যবধানটা হয়তো ‘একতরফা’ ম্যাচের কথা বলবে। আসলে ম্যাচের শুরু থেকে কতো কতো গল্প এই ম্যাচটিতে।
আগের রাতে পাঁজরের পুরোনো ব্যাথাটা জেগে উঠায় যার ম্যাচ খেলাই ছিল অনিশ্চিত, সেই মুশফিকুর রহীন এদিন খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। সেটিও দলের চরম বিপর্যয়ে ব্যাট করতে নেমে। চোট পেয়ে তামিম ইকবাল শুরুতেই মাঠ ছাড়লেন। খেলা চলাকালেই হাতপাতালে ছুঁটতে হলো তাকে। ফিরলেন হাতে ব্যান্ডেজ করে। এমনকি কমপক্ষে ছয় সপ্তাহের জন্য যে তিনি ছিটকে গেছেন, সেই খবরও অজানা থাকল না কারো।
কিন্তু সেই তামিমই কিনা দলের প্রয়োজনে মাঠে নেমে পড়লেন ব্যান্ডেজ হাতে। দশম ওভারে মুশফিকের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি হলো তার। বাংলাদেশ পেল লড়াকু পুঁজি। খেলা তো সত্যিই কখনো কখনো খেলার চেয়ে বেশি।