ভারতের হাতে এখনও ৭ উইকেট আছে। পড়ে আছে গোটা একটি দিন। তবু ওভাল টেস্টে হারের মুখেই আছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলটি। এই টেস্টে জয় পেতে তাদের প্রয়োজন আরো ৪০৬ রান। কিন্তু ক্রিজ থেকে এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাও আবার শূন্য রানে। অথচ কোহলি ছাড়া ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত যে অচল, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত! তাই ওপেনার অ্যালিস্টার কুকের বিদায়ী টেস্টটিতে জয়ের পাল্লা ইংল্যান্ডের দিকেই ঝুলে আছে বেশি।
সিরিজের ফল নির্ধারণে এই টেস্টের গুরুত্ব নেই মোটেও। কারণ এরই মধ্যে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজটি জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। কিন্তু সাবেক ইংলিশ অধিনায়কের বিদায়ী টেস্ট বলে সারা বিশ্বের চোখ এই টেস্টের দিকে।
নিজের ক্যারিয়ার সমাপ্তিটাও শুরুর মতো স্মরণীয় করে রাখলেন কুক। ২০০৬ সালে নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। সেঞ্চুরি দিয়ে নিজের অভিষেকটা রাঙিয়ে ছিলেন তিনি। শেষটাও রাঙালেন সেই সেঞ্চুরি দিয়েই; ভারতের বিপক্ষেই। তবে এবার নিজ দেশে। মূলত কুক ও অধিনায়ক জো রুটের দুইটি অসামান্য সেঞ্চুরির সুবাদে রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।
৪০ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে স্বাগতিকরা। কিন্তু কুকের ১৪৭ ও রুটের ১২৫ রানে ভর দিয়ে ৮ উইকেটে ৪২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ফলে ৪৬৩ রানের লিড পায় তারা। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও হানুমা বিহারি।
এদিকে বিশাল লক্ষ্যের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলেছে ভারত। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ১৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় সফরকারীরা। আর এরই মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা। যার মধ্যে অধিনায়ক কোহলির উইকেটটিও আছে। প্রথম বলেই স্টুয়ার্ট ব্রডের শিকার হয়ে ফিরে যান পুরো সিরিজে রানের ফোয়ারা ছোটানো কোহলি। এছাড়া ওপেনার শিখর ধাওয়ান যথারীতি শুরুতেই বিদায় নিয়েছেন। তিন নম্বরে নামা চেতেশ্বরা পুজারাও রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন। আজিঙ্কা রাহানেকে (১০*) নিয়ে অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল (৪৬*) অপরাজিত আছেন ক্রিজে।