‘আমার বাম হাত প্যারালাইজড, বাম পা নাড়াতে পারছি না। আমি প্রতিদিন আসতে পারবো না। সেরকম শারিরীক সুস্থতাও আমার নেই। আপনাদের যা ইচ্ছা তাই, যত ইচ্ছা সাজা দিন। আমি প্রতিদিন আসতে পারবো না।’
আজ বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারককে নিজের বাম হাত দেখিয়ে এমন কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলার বিচার বুধবার থেকে কারাগারেই শুরু হয়।
ঢাকা মহানগরের ১২৫ নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে অস্থায়ী আদালতটি বসে। ওই কারাগারেই সাজাভোগ করছেন খালেদা জিয়া।
এ দিন দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে হুইল চেয়ারে করে আদালতে উপস্থিত করা হয় খালেদা জিয়াকে। পুরো সময়টা তিনি হুইল চেয়ারেই ছিলেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দুদক আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতের কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ জানান। বিচারক আদালত আজকের মতো স্থগিত করে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, বিশেষ জজ আদালত-৫ এর কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের বকশিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে পরিচালিত হচ্ছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।