সিলেটের গোলাপগঞ্জে পশুর হাট নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেট কোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমী ও কলেজের প্রাক্তন ছাত্র উপজেলার বাদে রণকেলী গ্রামের রাহী আহমদ বাদী হয়ে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ২৫৮/১৮ ইং।
মামলায় ঢাকাদক্ষিন ইউপি সদস্য সেলিম আহমদসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন- পৌর এলাকার বাসিন্দা পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুল কাদিরের পুত্র নাহিন আহমদ (২৭), একই গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আবুল হোসেন বাদশা (৩২), ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল মাঝপাড়া গ্রামের নুকুল মালাকারের পুত্র নয়ন মালাকার অপু (২৭), উপজেলার সতনমদন ডিপুটি বাজারের তবারক আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন (২৭)।
মামলাটি কোর্টে দায়ের করা পর শুক্রবার মামলা নথিভুক্ত করার জন্য গোলাপগঞ্জ থানায় কোর্টের আদেশের কপি আসে। পরে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় তা নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন।
প্রসঙ্গত, এ সংঘর্ষের ঘটনা এখন পর্যন্ত দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুল কাদির বাদী হয়ে লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে গত ১৯ আগস্ট রাতে আরেকটি মামলা ( নং ১৩, তারিখ ১৯-০৮-২০১৮) দায়ের করেছিলেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখরকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট শনিবার গোলাপগঞ্জ সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট সরিয়ে নিতে বাধা দেয় ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র পরিষদের ব্যানারে একটি পক্ষ। এর জের ধরে বাজার ইজারাদার পক্ষের সাথে বিকাল ৩টা থেকে ঘন্টাব্যাপী বিদ্যালয় সংলগ্ন সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাকাঁ গুলিও ছোড়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন উপজেলার বাদে রণকেলী গ্রামের তফজ্জুল আলীর পুত্র রাহি আহমদ (৩৫), স্বরসতি গ্রামের চাঁন মিয়া, সাহেদ আহমদ (২৭), ফুলবাড়ি গ্রামের মোজাহিদ মিয়ার পুত্র জাবেদ আহমদ।