শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

শুরু হচ্ছে মহাশূন্যে পর্যটন, খরচ ৫শ’ কোটি টাকা!



বিজ্ঞাপন

নিজাম উদ্দীন সালেহ :: এবার ছুটিতে কোথায় বেড়াতে যাবেন? চাইলে মহাকাশে যেতে পারেন। তবে এজন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ পর্যটকদের জন্য মহাশূন্য ভ্রমণের প্যাকেজ নিয়ে হাজির হচ্ছে ২০২০ সালে। এ জন্য ভ্রমণ অর্থাৎ যাতায়াত বাবত খরচ পড়বে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা। প্রত্যেক ভ্রমণে ৩০ রাত পর্যন্ত থাকা যাবে। গত শুক্রবার নাসা তার এই বানিজ্যিক উদ্যোগের কথা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী এই সংস্থাটি বেসরকারী জনগণের জন্য পর্যটনের দুয়ার খুলে দিয়েছে।


নাসার চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার জেফ ডিউইট জানান, নাসা বাণিজ্যিক সুবিধাদির জন্য আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশনকে উন্মুক্ত করেছে এবং এসব সুবিধাদি বাজারজাত করছে, যা আমরা ইতোপূর্বে কখনো করিনি। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)- এর ডেপুটি ডিরেক্টর রবিন গ্যাটেনস্ বলেন, প্রতি বছর দু’টি সংক্ষিপ্ত প্রাইভেট মহাশূন্যচারী মিশন পরিচালিত হবে। মিশন ৩০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করবে। প্রতি বছর কয়েক ডজন ব্যক্তিগত মহাশূন্যচারী আন্তর্জাতিক মহাশূন্য স্টেশন ভ্রমণ করতে পারবেন।


জানা গেছে, নাসা: স্পেসএক্স- এর ‘ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল এবং বোয়িংয়ের ‘স্টারলাইনার’ নামক পরিবহন যান ভ্রমণকারীদের মহাশূন্য কক্ষপথে নিয়ে যাবে। মহাশূন্যে ভ্রমণকালীন সময়ে পর্যটক মহাশূন্যচারীদের খাদ্য, পানি ও লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের জন্য আলাদা অর্থ দিতে হবে। এজন্য প্রতি রাতের ব্যয় ৩০ লাখ টাকা। স্পেস স্টেশন অর্থাৎ মহাশূন্য স্টেশনটির একক মালিক নাসা নয়। রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ সম্মিলিতভাবে ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু করে। তখন থেকে ঐসব দেশ মহাশূন্যে মহাশূন্যচারী প্রেরণ করছে। ২০০১ সালে মার্কিন ব্যবসায়ী ডেনিস টিটো প্রথম পর্যটক হিসেবে মহাশূন্য ভ্রমণে যান। এজন্য রাশিয়াকে তার ২০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় দেড়শ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছিলো।

এসোসিয়েট প্রেস থেকে অনুবাদ