শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বাহুবলে চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার সময় শ্রীমঙ্গল ইউপি’র চেয়ারম্যানের ছেলেসহ আটক ৫
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিন্ড এলাকা থেকে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনা করার সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ চোরাইচক্রের ৫ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এদের সহযোগী আরেকজন পালিয়ে গেছে।

বুধবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এসআই ইকবাল বাহারসহ একদল ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ঐ গ্রামের বাসিন্দা ভুনবীর ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান চেরাগ আলীর ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৮), পৌরশহরের গুহ রোডেরবাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সেলুর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম আবি (২৪), শহরের শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার কবির হোসেন খানের ছেলে জুনায়েদ আহমেদ (২৮), খলিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহিদ হাসান সাকিব (২৫), কালিঘাট রোডের বাসিন্দা শামীম আক্তার হোসেন মিন্টুর ছেলে রায়হান হোসেন আপন (২৪)। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ডিবি পুলিশ জানায়, বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকায় গ্রেফতারকৃতরাসহ ৬ জন ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ডিবির একটি দল উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৬ চোরাকারবারী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ডিবি পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের অপর সহযোগী আকিবুর রহমান পাপ্পু পালিয়ে গেছে। এ সময় ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

এগুলো হচ্ছে-একটি নেভি ব্লু ১৫০ সিসি আরওয়ান-৫ যার মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লাল রংয়ের এফজেড-এস ১৫০ সিসি যার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং একটি কালো রংয়ের ১০০ সিসি টিভিএস যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা।

হবিগঞ্জ মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো.ইকবাল হোসেন বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আজাদ বাদী হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনার অপরাধে মামলা করেছেন। বুধবার তাদেরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৯ এর আদালতে পাঠানো হলে বিজ্ঞ বিচারক সকলকে জেলহাজতে পাঠান।’

তিনি বলেন, ‘আসামীরা সবাই চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনার সাথে জড়িত। হবিগঞ্জে প্রায়ই মোটরসাইকেল চুরি হয়। হবিগঞ্জের চোরাইচক্র শ্রীমঙ্গলের দিকে নিয়ে বিক্রি করে। আবার শ্রীমঙ্গল থেকে চুরির মোটরসাইকেলগুলো হবিগঞ্জের চোরাই গ্রুপের কাছে বিক্রি করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাইবো। পালিয়ে যাওয়া ছেলেটিও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এদের পেছনে কারা তাও খুঁজে বের করা হবে।’