শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জুড়ীতে চা বাগানের ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ডের অভিযোগ
জুড়ী প্রতিনিধি

জুড়ী প্রতিনিধি



বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক চা বাগানের ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে আর/এস খতিয়ানে রেকর্ড হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বাগান ব্যবস্থাপক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাপনা পাহাড় টি. ই. মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ১৯২৫.৮৫ একর ভূমি ৩০ বছর মেয়াদী ইজারা সূত্রে কাপনাপাহাড় চা বাগানের ভোগ দখলে আছে। সম্প্রতি জুড়ী সেটেলমেন্ট অফিস থেকে উত্তোলনকৃত আর/এস খতিয়ানে দেখা যায়, ইজারাকৃত ভূমির মধ্যে ৬৮.৭১ একর ভূমি (শ্মশান ও ধানী জমি) দুরবর্তী এলাকার ১৯ জনের নামে পৃথক ২২টি আর/এস খতিয়ানে বেআইনী রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোক্রমে দেখা যায়, ১৯৭৫/৭৬ সালে কুলাউড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত কবুলিয়ত নামা দলিলের ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তিগণ মালিকানা দাবি করে ২০১২/১৩ সালে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, সিলেটে আপিল মামলা করেন।

মামলা গুলো নিষ্পত্তির জন্য আপিল অফিসার, জুড়ী মোঃ আব্দুল হাই আজাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি আপিলকারীর পক্ষে মামলা নিষ্পত্তি করেন।

রায়ে উল্লেখ করেন- স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আঃ রকিব আহমদ জানান যে, খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমি গুলো বাদীগণ বন্দোবস্তীয় মোতাবেক মালিক হইয়া নামজারীকরত ভোগ দখলে আছেন ও খাজনা পরিশোধ করেন।

কাপনাপাহাড় চা বাগান ব্যবস্থাপক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, রায়ে যে দলিলের নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করা হয় কুলাউড়া সাবরেজিস্ট্রার অফিসের উক্ত নম্বর ও তারিখের দলিলের নকল উত্তোলন করে দেখা যায়, তাতে বাদীগণের কারো কোন নাম নেই। ১২.৪.৭৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত একটি দলিলের নম্বর ১২৮১৭। এর সাত মাস পর ১২.১১.৭৬ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত অপর একটি দলিলের নম্বর ৪২২৪। যা সামঞ্জস্যহীন। তাছাড়া ১৯৭৫/৭৬ সালের দলিল গুলোতে যে ১৯ জনের নাম রয়েছে তাদের ৪/৫ জনের ওই সময় জন্মই হয়নি।

এ বিষয়ে তৎকালীন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (জায়ফরনগর, সাগরনাল) আঃ রকিব আহমদ বলেন, আপিল অফিসার রায়ে মিথ্যা কথা লিখেছেন। আমি বলেছি এটা খাস জমি সরকারের নামে রেকর্ড করার জন্য।

বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (জায়ফরনগর, সাগরনাল) আব্দুল হান্নান বলেন, পুরো বিষয়টি একটি দক্ষ জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে জালিয়াত করে করা হয়েছে। উক্ত ভূমি কাপনাপাহাড় চা বাগানের দখলীয় ও বাগান কর্তৃপক্ষ খাজনা পরিশোধ করছেন।

জানতে চাইলে তৎকালীন আপিল অফিসার, জুড়ী মোঃ আব্দুল হাই আজাদ বলেন, আমি শুধু আপিল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছি এবং পূর্ববর্তী কাগজের ভিত্তিতে রায় দিয়েছি।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক বলেন, এ বিষয়ে কাপনাপাহাড় চা বাগান ব্যবস্থাপকের অভিযোগপত্র পেয়েছি। ব্যক্তি নামের আর/এস খতিয়ান হতে ১নং খতিয়ানের ভূমি সরকারের নামে রেকর্ডভুক্তির লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।