শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরো পাঁচ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

৪ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আমজাদ হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হবিগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক এমরান, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ছামিউল বাছিত, এমানুল হক এনাম, মামুন মিয়া, শাহীন মিয়া, শাহরিয়ার সৌরভ, আব্দুল বশির, আবুল হাসান, হোসেন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম আমীন, আব্দুস শহীদ, এমানুল হক বাবুল, কফিল উদ্দিন ও আফিল উদ্দিন।

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার ও অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটুসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আশরাফুল বারী নোমানসহ আইনজীবীরা মামলা পরিচালনা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেতৈয়া ভোট কেন্দ্রে নাশকতার অভিযোগ এনে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ বড়ুয়া বাদী হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৯৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ১৬ জন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে চার সপ্তাহ পর নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার উল্লেখিত ১৪ জন হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন।

একই মামলায় বিএনপি নেতা শামীম মিয়া, জহিরুল ইসলাম, হেলিম মিয়া জসিম মিয়া ও আব্দুর রহমানের পক্ষে জামিনের সময় আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন এবং উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, ৩১ ডিসেম্বর একাদশ নির্বাচনে তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে চায় আসামিরা। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে আহত করা হয়।