শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হংকং-চীনে ধেয়ে যাচ্ছে মাংখুট, ফিলিপাইনে নিহত ২৫
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

ফিলিপাইনে টাইফুন মাংখুটের আঘাতে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। টাইফুনটি ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপ এলাকায় তাণ্ডব চালানোর পর ঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে দক্ষিণ চীন ও হংকংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তোর উপদেষ্টা ফ্রান্সিন টলেনটিনো জানান, ঘূর্ণিঝড় মঙ্খুটের আঘাতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি জানান, লুজন দ্বীপের কোর্ডিলেরা এলাকায় ২০ জন এবং পার্শ্ববর্তী নুভা ভিজকায়া প্রদেশে ভূমিধসে ৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যজন নিহত হয়েছেন রাজ্যের লোকাস সুর এলাকায় গাছের নিচে চাপা পড়ে। প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দতের্তো নিজে এই ঘূর্ণিঝড়ের পর উদ্ধার তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন।

ফিলিপাইনের রেডক্রসের চেয়ারম্যান রিচার্ড গর্ডন জানান, এখনো বিপদ কেটে যায়নি। ঝড় দুর্বল হওয়ার পর প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে যেমন ভূমিধস হচ্ছে, সামনে বন্যারও আশঙ্কা রয়েছে।

‘টাইফুনটির তাণ্ডবে তুগেগ্যারাও শহরের প্রায় সব ভবন কিছু না কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’

টাইফুনটি ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর গমনপথে ৪০ লাখ লোকের বসবাস। টাইফুনের কারণে ছয় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাসে উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার লোককে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রবল ঝড়ে উপকূলীয় শহর আপারির আশ্রয় কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শহরটির ফোন নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ফিলিপিন্সের স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর প্রায় ১টা ৪০ মিনিটের দিকে কাগায়ন প্রদেশের বাগগাও এলাকা দিয়ে টাইফুনটি স্থলে উঠে আসে। স্থলে উঠে আসার পর টাইফুনটির বাতাসের বেগ কিছুটা হ্রাস পায়। এতে কিছুটা দুর্বল হয়ে সুপার টাইফুনের অবস্থা থেকে এটি প্রায় চার মাত্রার সমতুল্য একটি হারিকেনে পরিণত হয়।

স্থানীয়ভাবে ওমপোং নামে পরিচিতি টাইফুনটির মেঘের বহর প্রায় ৯০০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং এটি ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিমমুখে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এই টাইফুনটিকে চলতি বছর এ পর্যন্ত আঘাত হানা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে ঘোষণা করেছে।

রোববার বিকালে মাংখুট হংকংয়ের কাছ দিয়ে বয়ে যাবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার টাইফুনটি দুর্বল হয়ে একটি ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে পূর্বাভাসে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে।

এই টাইফুন ২০১৩ সালে আঘাত হানা ফিলিপিন্সের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন হাইয়ানের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। হাইয়ানের আঘাতে সাত হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল। তবে ওই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে ফিলিপিন্সের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি ও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত হওয়ায় মাংখুটে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।